মাগুর মাছ চাষ করার সকল পদ্ধতি ও নিয়ম কানুন সহ খাবার ব্যবস্থাপনা।

2.6
(19)

যে কোন মাছ চাষ একটি লাভজনক প্রজেক্ট। আর মাগুর মাছ চাষ করা মানেই আরও লাভ। তবে সঠিকভাবে যদি মাগুর মাছের চাষ করা যায় তাহলে একজন উদ্দ্যোক্তা সফল উদ্দ্যোক্তায় পরিনত হবে। আজ আমরা আলোচনা করছি সফলভাবে সঠিক পদ্ধিতে মাগুর মাছ চাষ করার সব কিছু। তবে দেশি মাগুর মাছ নয়, সমপূর্ণ হাইব্রিড মাগুর মাছ নিয়ে। কারন হাইব্রিড মাগুর মাছের চাহিদা বর্তমান বাজারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর দেশি মাগুর মাছের তুলনায় হাইব্রিড মাগুর মাছ চাষ করা সহজ ও অধিক লাভজনক। পোস্ট যদি ভালভাবে পড়ে বুঝে মাগুর মাছ চাষ করতে পারেন তাহলে আপনি ভাল কিছু করতে পারবেন। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন মাগুর মাছ চাষ করার পদ্ধতি জেনে নেই।

পুকুর ও জলাশয়ের পাড় নির্বাচন

আপনি হাইব্রিড মাগুর মাছ চাষ করার জন্য প্রথমে দরকার হবে একটি পুকুর। আর পুকুর কত বড় হবে তা নির্ভর করবে আপনার মাগুর মাছ চাষ করার উপর। আপনি যদি খুব বেশি মাহুর মাছের প্রজেক্ট করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে বড় পুকুর দিতে হবে বা নিতে হবে। আর যদি মোটামুটি পরিশরে মাগুর মাছ চাষ করতে চান তাহলে মোটামুটি পুকুর হলেও চলবে। সেটা আপনার নিজের পুকুর হোক অথবা বছর ভিত্তিক লিজ নিয়ে হোক।

পুকুর নির্বাচন করা যতটা সহজ ততটা কঠিন হয় হাইব্রিড মাগুর মাছ চাষ করার জন্য পুকুরের পাড়। আপনি অবশ্যই জানেন যে মাগুর মাছ তার দুটি চোঁয়ালের কাঁটা ও বুক দিয়ে হেটে হেটে অনেকদুর পর্যন্ত যেতে পারে। ছোট বেলায় গল্প শুনেছিলাম যে মাগুর মাছ আর কৈ মাছ নাকি তাল গাছেও উঠতে পারে। জানিনা গল্পগুলো সত্য কি না। সত্য হোক কিংবা মিথ্যা হোক হাইব্রিড মাগুরমাছ চাষ করার জন্য আমাদের পুকুরের পাড় ঠিক মত চওড়া করে দিতে হবে। সেই সাথে অন্য পুকুরের চাইতে পাড় অনেক উঁচু করে দিতে হবে। যাতে বর্ষার সময় পাড় ডুবে না যায়। পাড়ের চারদিকে আর একটি ভাল কাজ করতে পারেন তা হল বাঁশের চাটাই (বানা) তৈরি করে পাড়ের চারদিকে ঘিরে দিতে পারেন। যদিও এটি করতে একটু বেশি ব্যায় হবে। তারপরেও সাবধানতা থাকা ভাল। প্রায় পুকুরের পাড়ে ইঁদুর বা শাপের গর্ত থাকে সেই গর্তদিয়ে মাগুর মাছ বাহিরে চলে যাওয়ার জন্য বেশ পটু। যদি বাঁশের চাটাই দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে জাল দিয়ে চারদিক ঘিরে দিতে হবে। আর অবশ্যই পুকুরে ঢাল দিতে হবে যার বাহিরে থাকবে ৩:১ ও ভিতরের দিকে ৩:১ থেকে ৪ :১ পর্যন্ত।

পুকুর পরিচর্যা ও আগাছা দমন

মাগুরমাছ চাষ করতে গেলে অবশ্যই পুকুরের আগাছা পরিস্কার করতে হবে। কারন মাগুর মাছ কোন গাছ লতা পাতা পছন্দ করে না ও খায় না। আর পুকুরের অধিকাংশ রোগ বালাই আগাছার মধ্যে আটকিয়ে থাকে। এছাড়া আগাছা থাকলে পুকুরের পানির নিচে সূর্যের রোদ প্রবেশ করতে পারে না আর মাগুর মাছ সব সময় পুকুরের পানির স্তরের বেশ নিচে বসবাস করে। মাগুর মাছ খুব চঞ্চলিত মাছ তাদের পুকুরে ঘোরাঘুরির সমস্যা সেই আগাছাই করবে। তাই আপনি পুকুরের আগাছা আগেই পরিস্তকার করে দিন।

অন্যন্য মাছ দমন করুন

এবার আপনার অন্যন্য রাক্ষুসে মাছ সহ সকল মাছ দমন করার পালা। আপনার পুকুর যদি নতুন হয় তাহলে তো দরকার নেই। আর যদি পুরাতন হয় তাহলে আপনি পুকুরের সব মাছ তুলে ফেলুন। দরকার হলে পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তুলে ফেলে সকল মাছ মেরে ফেলুন। যদিও মাগুর মাছ নিজেও রাক্ষুসে তবে আপনি তো ছাড়বেন ছোট মাগুর মাছ। ছোটরা সব সময় বড়দের কাছে হার মানে। আর পুকুরে তো অন্যন্য জলজ কীটপতঙ্গ আছেই। তাই আপনার সব থেকে ভাল হয় আপনি পুকুরে মহুয়া খৈল প্রয়োগ করলে। এতে করে সব মাছ মারা যাবে তার সাথে মারা যাবে অন্যন্য জলজ কীটপতঙ্গ। মহুয়া খৈলের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের স্যাপোলিন যেটি একটি রাসায়নিক পদার্থ মূলত এর মাধ্যমেই সব ছোট ছোট প্রাণী মরে যাবে। স্যাপোলিনের মেয়াদ থাকে ১০ থেকে ১৫ দিন। তারপর সেই মহুয়া খৈল নিজেই প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে তৈরি হবে যা মাগুর মাছের জন্য অনেক পুস্টিকর খাবার। ২০ দিনের মধ্যে যদি আপনি আপনার সখের মাগুর মাছের রেণু পোনা পুকুরে ছেড়ে দেন তাহলে কেল্লা ফতে..! তাই আপনাকে মহুয়া খৈল প্রয়োগের সর্বনিম্ন ২০ দিন পর মাগুর মাছ ছাড়তে হবে।

মাছের চারা মজুদ করবেন কিভাবে

আপনার পুকুর এখন সমপূর্ণ রেডি। এবার পালা মাগুরমাছের চারা পুকুরে ছেড়ে দেওয়ার। আপনি মাগুর মাছের চারা ২ প্রকারে সংগ্রহ করতে পারেন তা হল

প্রাকৃতিক উপায়ে

আগেরদিনে দেখতেন যে যখন মাগুর মাছের ডিম পাড়ার সময় হয় তখন সেই মাছ অগভীর পানির দিকে চলে আসে। বিষেশ করে ধানক্ষেত, আগাছার দিকে। এটি লক্ষ করা যায় বর্ষাকালে। “আগের দিন বাঘে খেয়েছে ” বলে একটা প্রবাদ আছে। ডিম পাড়ার পর মাগুর মাছের বাচ্ছা কাচ্ছা সহ সবাই থুক থুক করে পানির মাঝে এক সাথে দলবদ্ধ হয়ে ঘুরে বেরায়। এই চান্সেই মাগুর মাছের চারা সংগ্রহ করা হয়। বাচ্ছা যায় পুকুরে আর মা মাছের ধরা পেলে চলে যায় পেটে ।মনে রাখবেন সব মাছেই একদিন মানুষের পেটে চলে যাবে। তাই বলা যায় ‘আগেরদিন খেয়েছে বাঘ আর মাগুর মাছ খায় মানুষ’ আপনি এমন পদ্ধতিতে মাছের চারা নিতে পারেন তবে এটা জাইব্রিড জাতের মাছ না, এটা দেশি মাগুর মাছের কথা চলে আসতেছে। আমরা যেহেতু হাইব্রিড মাগুর মাছ নিয়ে ব্যবসা করার পরিকল্পনা করতেছি তাই আমাদের সেদিকে যাওয়া ভাল। নিচে আছে সেইগুলো পড়ুন

হ্যাচারি থেকে

হাইব্রিড মাগুর মাছের চারা আহরনের সব থেকে ভাল জায়গা হল হ্যাচারী। কারন মাগুর মাছের রয়েছে বিভিন্ন রকম জাঁত। আপনি হ্যাচারি থেকে যে যাতের হাইব্রিড মাছের চারা নিতে চান না কেন আপনি সেই জাতের মাছের চারা পাবেন। হয়তো দুই একটি অন্য জাতের চারা থাকতে পারে। আপনি এই চারা সংগ্রহ করার জন্য আপনার এলাকার বা বিভিন্ন স্থানের হ্যাচারি থেকে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবের সেই চারা যেন সঠিক জাতের হয়। সব থেকে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের চারা ভাল হয় এবং সেই চারার ওজন ৮ থেকে ১০ গ্রাম ও দৈর্ঘ ৭-১০ সেমি হলে ভাল হয়।

মাছের চারা পুকুরে ছাড়ার পদ্ধতি

আপনি যদি দুর থেকে মাছের চারা নিয়ে আসেন তাহলে পুকুরের পানির তাপমাত্রা ও মাছের চারার পাতিলের তাপমাত্রা সমান কিনা একটু দেখে নিবেন। মাছের চারা ছাড়ার আগে ক্যালেন্ডার দেখতে ভুলবেন না। ক্যালেন্ডার দেখে নিন যে মহুয়া খৈল কি ২০ দিন আগে পুকুরে প্রয়োগ করেছেন কিনা। এছাড়া একদিন আগে পুকুরের কোয়ালিটি বেক করতে পারেন, দেখুন পুকুরে আবর্জনা বা লতা পাতা উদ্ভিদ জাতীয় কিছু আছে কিনা । সব কিছু ঠিক থাকলে আপনি এবার বিসমিল্লাহ বলে মাছ ছেড়ে দিতে পারেন।

মাগুর মাছের পরিচর্যা করা

মাছ ছেড়েছেন ভাল কথা এবার তার পরিচর্যা করুন। আগেই বলে দিয়েছি মাগুর মাছ কোন উদ্ভিদ পছন্দ করে না, খাদ্য হিসেবেও না। বর্তমানে আপনার আগের মহুয়া খৈলের প্রাকৃতিক খাদ্য মাছের জন্য যতেষ্ট হচ্ছে। প্রশ্ন আসতে পারে যে এতো মাছুম বাচ্ছা মাছগুলোর খাদ্য কি শুধু খৈল? আরে না ভাই অবশ্যই খাদ্য দিবেন কারন ছোট মাছের খাদ্য তালিকায় রয়েছে শুধু গোবর। এখন একটা হিসেব দেই আপনার কচি কচি মাছের এখন কোন সারের প্রয়োজন। মাগুর মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে প্রতি মাসে বিঘা প্রতি ১০০ থেকে ১২৫ কেজি ও হেক্টর প্রতি ৭৫০ থেকে ৮৫০ কেজি করে কাঁচা গোবর প্রয়োগ করতে হবে। এই কাঁচা গোবর মাগুর মাছের জন্য উপযুক্ত এ প্রিয় খাদ্য। তাই মাগুর মাছ এই গোবর সোজাসুজি খাবার হিসেবে গ্রহন করে। এছাড়া গোবর প্রয়োগের ফলে গোবর থেকে অটোমেটিক প্রাকৃতিজ সূক্ষ্ম প্রাণীকণার খাবার তৈরি হয় এটাও মাছের জন্য প্রিয় খাবার। তাই নিয়মিত গোবর প্রয়োগ করতে থাকুন এতে করে মাছের চাহিদামত সঠিক খাবার পাবে। গবর প্রয়োগের ফলে আবার নানা কারনে পানি দূষিত হতে থাকে এতে মাছের গায়ে রোগ বালাই হওয়ার প্রবণতা থাকে । তাই পানিকে বিশুদ্ধ করার জন্য আপনি চুন প্রয়োগ করতে পারেন এতে করে মাছের খাদ্য ঠিক থাকবে ও পানি বিশুদ্ধ হবে। চুন প্রয়োগ করার নিয়ম হল কাঁচা গোবর প্রয়োগ করার ৭ – ১০ দিন বাদে বিঘা প্রতি ৮ – ১০ কেজি কলি চুন (৬০ – ৭৫০ কেজি প্রতি হেক্টরে)।

মাগুর মাছের খাদ্য

আপনার পুকুরে এখন মাগুর মাছ অবাধ হয়েছে আপনার মাছ চাষের আবাদ করার মাধ্যমে এখন মাগুর মাছের জন্য আপনাকে নিয়মিত খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে। মাগুর মাছের জন্য পরিপূরক খাদ্যের উপাদানগুলি হল —উদ্ভিদ উপাদান, প্রাণীজ উপাদান, অন্যান্য উপাদান। খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, ওষুধ ইত্যাদি।

উদ্ভিদ উপাদন

আপনি মাগুর মাছের জন্য নিয়মিত উদ্ভিদ উপাদনগুলো প্রয়োগ করতে পারেন উদ্ভিদ উপাদের মধ্যে হল চালের গুড়ো বা খুদ, চালের কুড়ো, বাদাম গুড়ো, শরিষার খৈল, সয়াবিন সহ তৈলাক্ত জাতীয় সকল উদ্ভিদ।

প্রাণীজ উপাদন

মাগুর মাছের জন্য প্রাণীজ উপাদনগুলো হল রেশমকীটের মুককীট, কেঁচো, শুটকি মাছের গুঁড়ো, শুকনো চিংড়ির গুঁড়ো, মাংসের কুচি, গেঁড়ি, গুগলি শামুকের মাংসল অংশ, কাঁচা গোবর, গোবর গ্যাস প্ল্য‌ান্টের পরিত্যক্ত দ্রব্য ইত্যাদি। এগুলি অধিকাংশ প্রোটিন, ভিটামিন, তৈল ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ।

অন্যান্য উপাদন

অন্যান্য উপাদনের মধ্যে বাড়ির খাবারের পরিত্যক্ত খাবার যেমন মাংসের পরিত্যক্ত, মাছের পরিত্যক্ত সহ বিভিন্ন রকম পরিত্যক্ত খাবার। এছাড়া মরা মুরগী, মরা ইঁদুর, গরুর ভূড়ি, ছাগলের ভূড়ি ছাড়াও মল, মুত্র চামড়া সহ সব কিছুই মাগুর মাছের প্রিয় খাবার।

মাছের বৃদ্ধি ও সুস্থ রাখার জন্য পরিচর্যা করুন

আপনি মাছের খাদ্য যেভাবে দিয়েছেন ঠিক তেমন করে সময়মত মাছের শরীর বৃদ্ধি ও সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত পরিচর্যা করুন। আপনি প্রতিমাসে একবার করে টানা জাল অনন্ত একবার করে টানুন। জাল টানার পর আপনি মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন ও বাজে মাছ তুলে ফেলুন। বাজে মাছ বলতে যে সব মাছের মাথা বড় হয়ে গিয়েছে সেগুলো তুলে ফেলুন। এছাড়া যে সকল মাছের গায়ে বিভিন্ন ক্ষত দেখা দিয়েছে সেগুলোও আপনি তুলে ফেলুন। তাছাড়া নিয়মিত জাল টানলে মাছের ব্যায়াম হয় এতে করে মাছের শরিরের বিস্তার বৃদ্ধি পায়। আর মাছের গায়ে রোগ বালাইয়ের চিন্হ দেখা দিলে তার সঠিক চিকিৎসা করুন।
এছাড়া মে ও জুন মাসে পুকুরে পানি কমে যায় তখন পুকুরে শ্যাওলা ধরে। আগেই বলেছি উদ্ভিদ জাতীয় কোন কিছু পুকুরে রাখা যাবে না , এটি মাগুর মাছের জন্য বিরক্তিকর। তাই আপনি মানুষ লাগিয়ে শ্যাওলা তুলে ফেলুন। এছাড়া পানি কমার সাথে সাথে মাগুর মাছের চলাফেরার কষ্ট হয় আর প্রচন্ড রোদের কারনে পানি গরম হয় এতে করে মাছের মধ্যে অনেক রোগ বালাই দেখা দিতে পারে। তা না হলে মাগুর মাছ বাহিরে চলে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করবে। পানি কম হলে আপনি পুকুরে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বা সেচ পদ্ধিতে বিশুদ্ধ পানি প্রবেশ করাতে পারেন। আর তা সম্ভব না হলে আপনি পুকুরের মাঝে মাঝে গভীর গর্ত করে দিন যাতে করে মাছের শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য সেই বড় গর্তের নিচে যেতে পারে , গর্তগুলো অবশ্যই চওড়া ও পুরু করবেন। আবার আপনি তালের গাছের পাতা বা কলা গাছের পাতা পানিতে ফেলে দিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে রোদের তাপ থেকে মাছ রেহাই পাবে।

মাছ আহরণ বা মাছ ধরা

ভাই আপনি তো এত সময় ধরে পড়লেন মাগুর মাছ চাষের জন্য পুকুর তৈরি থেকে শুরু করে মাছে চাষের সব কিছুই। এখন মাছ আহরনের পালা এসে গেছে। আপনি বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে মাছ ধরতে পারেন আপনি যদি মনে করেন আজ রাতে মাগুর মাছ দিয়ে ভাত খাবেন তাহলে আপনি একটা বরশি দিয়ে মাছ ধরে এনে বৌকে দিয়ে রান্না করে খাইতে পারেন। আপনি নিজেও রান্না করতে পারেন, বাধা নেই আমার। আর যদি মনে করেন আত্নীয়র বাসায় বাসায় দিবেন তাহলে আপনি কলসে বা কুমড়ার বক্স এ খাদ্য দিয়ে তা ১ দিন রেখে তুলে মাছ ধরতে পারেন অথবা টনি জাল দিয়ে ধরতে পারেন। আপনার যদি কিছু টাকার দরকার হয় তাহলে আপনি ছেচা জাল দিয়ে মাছ ধরতে পারেন। আর যদি সব মাছ তুলে বিক্রি করতে চান তাহলে ছাঁকনী জাল দিয়ে মাছ তুলতে পারেন। এই জাল মানুষ দুই প্রান্তে ধরে দুজনে টান দিয়ে জাল দিয়ে ছাঁকনী করে মাছ তুলতে হয়। মাগুর মাছ কিন্তুু পানির সর্বনিম্ন স্তরে বাস করে তাই সব মাছ জালে উঠে আসে না। তাই আমার সব থেকে ভাল বুদ্ধি হল সেচ দিয়ে পানি তুলে সমপূর্ণ মাছ তুলে বিক্রি করে দিন এটাই বেস্ট।

মাগুরমাছ অনেক লাভজনক ব্যবসা।আপনার প্রতিটি মাছ ৩ থেকে ৫ কেজি হলে তা বিক্রি করলে অনেক লাভ পাওয়া যায়। সব কিছু ঠিক মত হলে আপনার একটি মাছ ১০ কেজি পর্যন্ত হয়। এছাড়া উন্নতজাতের হাইব্রিড মাগুর মাছ চাষের কলাকৌশল জানতে মৎস গবেষণা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন। আজ তাহলে এই পর্যন্তই থাকল।

লেখাটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে, অনুগ্রহ করে সে অনুযায়ী ভোট দিন

ভোট দিতে স্টার বাটনে চাপুন

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Tell us how we can improve this post?

লেখকের সমন্ধে জানুন

পোস্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment