চা পাতার প্যাকেটের ছবি
অল্প পুঁজির লাভজনক ব্যবসা হল চা পাতার ব্যবসা। আবার একদিকে খুবেই কঠিন ব্যবসা হল চা পাতার ব্যবসা। আপনি যদি সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে না চলেন বা চা পাতা ক্রয় করতে না পারেন তাহলে আপনার এই ব্যবসায় না আসা ভাল। আর আপনি যদি বেশি দামের চা পাতা কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি আস্তে আস্তে লাভবানন হবেন। যাইহোক আজ আমি আপনাদের চা পাতার ব্যবসা করার জন্য চা পাতার প্যাকেট নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি যদি খোলা চা পাতার বস্তা ক্রয় করে বিক্রি করতে চান তাহলে আপনার জন্য এই পোস্ট। ধাপে ধাপে বলা হলো। আর পোস্ট টি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
চা পাতার প্যাকেট
চা পাতা একটি সরকারি খাদ্য, বাংলাদেশ চা বোর্ড এর নিয়ন্ত্রণে সব কিছু হয়। আপনি যখন চা পাতার প্যাকেট তৈরি করেন তাহলে আপনাকে প্রথমে চা বোর্ড হতে অনুমোদন নিতে হবে। আপনি যদি অনুমোদন পেয়ে যান তাহলে আপনি চা পাতা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করতে পারবেন। সাধারনত চা পাতার প্যাকেট করতে গেলে আপনাকে চা বোর্ড হতে ৩ টি লাইসেন্স নিতে হবে।
- খুচরা ও পাইকারি লাইসেন্স।
- বিটার লাইসেন্স।
- ব্লেন্ডার লাইসেন্স।
এই লাইসেন্সগুলো পাওয়ার জন্য আপনাকে বিষদ কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং ধাপে ধাপে একটি করে লাইসেন্স গ্রহন করতে হবে।
বি এস টি আই অনুমোদন
আপনাকে অবশ্যই বিএসটিআই লাইসেন্স গ্রহন করতে হবে। এছাড়া চা পাতা রঙিন মোড়কে যদি প্যাক করে বিক্রি করেন তাহলে আপনাকে আইনের আওতায় পড়তে হবে।
সিলিন্ডার তৈরি
আপনি যদি চা পাতার প্যাকেট তৈরি করে চা বাজারজাতকরণ করেন তাহলে আপনাকে প্যাকেট এর জন্য সিলিন্ডার তৈরি করতে হবে একেকটি সিলিন্ডারের বাজার মূল্য হয় ৮ থেকে ১২ হাজার টাকার মত। আপনি আপনার প্যাকেট এ যতদি কালার দিয়ে তৈরি করবেন ঠিক ততটি কালারের সিলিন্ডার তৈরি করতে হবে। সাধারনত বাংলাদেশে ৬ থেকে ৮ কালারের চা পাতার প্যাকেট এর ছবি পাওয়া যায়।
এরপর আপনাকে চা পাতার প্যাকেট এর প্রডাকশন ধরাতে হবে। আপনাকে সর্বনিম্ন ১০০ কেজি থেকে ২০০ কেজি প্যাকেট প্রডাকশন করতে হবে । প্রতিকেজি প্যাকেট এর মূল্য ৩৮০/- থেকে ৪৬০/- পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কোথায় পাবেন এর কারখানা
আপনি ঢাকা চিটাগাং ও বগুড়া অঞ্চলে এসব প্যাকেট তৈরি করণ কারখানা পাবেন। আপনি আপনার সুবিধামত এলাকায় এসকল প্যাকেট তৈরি করে নিন।
চা বোর্ড আইন
বাংলাদেশ টি বোর্ডের অনেক আইনের মধ্যে অনুমোদনহীন চা পাতার প্যাকেট এর আইনে বলা হয়েছে কেউ যদি অনুমোদনহীন চা পাতার প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে তাহলে তাহাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। এর জন্য সর্বনিম্ন সাজা হল চার বছরের জেল অথবা সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

বি এস টি আই আইন
আপনি যদি চা পাতা অবৈধ বিএসটিআই ও অনুমোদনহীন প্যাকেট এ চা বাজারজাতকরণ করেন তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হবে এবং আপনাকে ২ বছরের জেল অথবা সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
কারা করে এসব মনিটরিং
মাঠপর্যায়ে সরকারের অনেক মহল প্রত্যেকটি জেলা উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং করে । আপনার অজান্তেই আপনার সব রকম ডাটা কালেক্ট করে থাকে। এছাড়াও B S T I সব সময় প্রায় প্রত্যেক মার্কেট থেকে যে সকল পণ্য সন্দেহভাজন মনে হয় সে সকল কনজুমার পণ্য মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করে থাকে। আপনার সব কিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে ওকে আর যদি সব ঠিক না থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই মামলায় পড়তে হবে তাও একটি নয় সর্বনিম্ন ৩ টি মামলায় জড়িয়ে যাবেন। এছাড়া ভোক্তা অধিকার প্রায় এসব মনিটিং করে বেড়াচ্ছে।

চা পাতার প্যাকেট করতে কত টাকা লাগে
ভাই আপনি আস্তে আস্তে শুরু করুন একদিন সফল হবেন। তবে মৌখিক ভাবে আমি টাকার অংকটা বলে দিচ্ছি আপনাকে চা পাতার লাইসেন্স ও চা পাতার প্যাকেট করার সকল খরচ মিলে আসতে পারে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। আপনি এই টাকা দিয়ে শুরু করুন সফল হবে।
কয়েকটি অবৈধ চা প্যাকেট এর নাম
বাংলাদেশে ইদানিং অনেক চা পাতার প্যাকেট তৈরি হচ্ছে যেগুলো অবৈধ। ইতিমধ্যে কয়েকটি চা পাতার প্যাকেটের মালিকের জেল ও জরিমানা করা হয়েছে এবং কিছু প্যাকেট সরকারের নজরতালিকায় রয়েছে সেগুলো হলো : সেভরন চা, টাকটা চা, টাইম টি, শ্রীমঙ্গলের টি, মিয়াজীপূরী চা, সিলেটের টি, কোয়ালিটি চা, রাজধানী চা, তাসিন টি, ঢাকা টি, ময়না টি, কিং টি, বাঁশপাতা চা, পাতা চা, পাতা কুড়ি চা সহ প্রায় ২০০ টিরও বেশি প্যাকেট সরকারের তালিকায় রয়েছে।
শেষ কথা
আপনি চা পাতার ব্যবসা করবেন ভাল কথা কিন্তুু অবশ্যই বৈধভাবে ব্যবসা করবেন। যেন দেশের উপকার হয় ও দশের উপকার হয়। আজ এই পর্যন্ত, যদি কিছু বলার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্স এ কমেন্ট করে জানাবেন।
Good idea